| |
               

মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশন ‘কেন্দ্রে ভোটার আনা ইসিসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব না’


‘কেন্দ্রে ভোটার আনা ইসিসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দায়িত্ব না’


রহমত নিউজ ডেস্ক     24 July, 2023     12:39 PM    


নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, কেন্দ্রে ভোটার আনা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব না। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরও দায়িত্ব না। প্রার্থীরা ভোটারদের উপস্থিত করাবে। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় ওই রকম তৎপরতা থাকতে হবে। এ উপনির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে হচ্ছে। এ কারণে ভোটারদের আগ্রহ হয়তো কম থাকবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পাঁচ মাসের মতো সময় আছে। এটাই হয়তো একটা অনাগ্রহের কারণ হতে পারে। ফলাফল যা পাবো আমরা তা ঘোষণা করবো। এ নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রায় নয় শতাধিক বিভিন্ন নির্বাচন করেছি আমরা। সেখানে আমাদের একই বার্তা ছিল। ভালো-মন্দ আপনারা বিশ্লেষণ করবেন। সেসব নির্বাচনে অনিয়ম-অন্যায় হয়েছে এরকম কিছু মন্তব্য অথবা একেবারে প্রমাণসহ বলতে পারেনি। আমরা চাচ্ছি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য। সবাইকে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য বলা হয়েছে।

রবিবার (২৩ জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং-হালিশহর-পাঁচলাইশ) আসনের উপনির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।  

আনিছুর রহমান বলেন, আগামী জাতীয় একাদশ সংসদ নির্বাচন একেবারেই দ্বারপ্রান্তে। তার আগেই আমরা আইনি বাধ্যবাধকতার জন্য এ নির্বাচন করতে হচ্ছে। সেটাও যে একটা আমাদের মহড়ার মতো হয়ে যাচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনের আগে এই উপ-নির্বাচনের বিষয়টি আমরা মাথায় রেখেছি। আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা করেছি। তাদের সঙ্গে আমাদের মতবিনিময় হয়েছে। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম-১০ আসনের পরিবেশ সুন্দর আছে। কোনও রকমের ঝুঁকির আশঙ্কা করছে না কেউ। আগামী ৩০ জুলাই ভোট হবে। সেই পর্যন্ত পরিস্থিতি সুন্দর রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা আরও বাড়ানোর জন্য বলেছি। নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজনে দেওয়ার সুযোগ নেই। আগে ভোট ডাকাত নামে একটা শব্দ প্রচলিত ছিল। কিন্তু এখন সেটি নেই। ভোটার ছাড়া ভোটকেন্দ্রে কেউ প্রবেশ করার সুযোগ নেই। আমরা এখন পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দিইনি। নিবন্ধনের যোগ্য বলে মাঠ পর্যায়ে অনেকগুলে স্টেপ পার হয়ে দুটি দল এ পর্যায়ে এসেছে। মাঠ পর্যায় থেকে আসা তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে এখন পর্যন্ত দুটি দল সব ক্রাইটেরিয়া পূরণ করেছে। তারা নিবন্ধন পাওয়ার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেছে। যদি তাদের সম্পর্কে কোনও আপত্তি থাকে তাহলে ২৬ তারিখের মধ্যে জানাতে বলেছি। অভিযোগ থাকলে সেগুলো নিষ্পত্তি করেই নিবন্ধন দেওয়া হবে। যদি সেক্ষেত্রে প্রমাণ হয় এখানে অযোগ্যতা আছে তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিরো আলমের উপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্প্রতি দুটি নির্বাচনে কিছুটা সমস্যা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা-১৭ আসনের যে উপ-নির্বাচন গত ১৭ জুলাই হয়ে গেল সেটা আপনারা দেখেছেন। এটা নিয়ে বিভিন্ন রকম মন্তব্য আছে। বিষয়টি তদন্তাধীন আছে। এখানে যে ঘটনাটি ঘটেছে অনাকাঙ্খিত ছিল। যারাই করেছে, এটা তদন্তাধীন আছে। সত্য উৎঘাটিত হবে। আরেকটা বরিশাল সিটি করপোরেশনেও হয়েছিল। অবশ্যই এসব ঘটনা নিন্দনীয়। যে বা যারা এসব ঘটনা করে তারা হয়তো কারো উদ্দেশ্য সফল করার জন্য করে কিনা, দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য করে সেগুলো প্রশ্নসাপেক্ষ। আমাদের কাছে ছোট-বড় কোন প্রার্থী নাই। যিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন তিনিই আমাদের প্রার্থী। তার নিরাপত্তা বিধান করা আমাদের কর্তব্য। চট্টগ্রাম-১০ আসনে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ চলছে। আগামী ৪-৫ দিনের মধ্যে প্রত্যেক কেন্দ্রে কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসে যাবে। চট্টগ্রাম-১০ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনি ক্যাম্প ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেফতারও হয়েছে। কোনও ঘটনাকেই ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। সতর্কতা আরো বাড়াতে হবে।